প্রচ্ছদ > রাজনীতি > বিএনপি

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগাবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

article-img

হাসিনা সরকার পতন এর পর বাংলাদেশ এর সকল মানুষ এর মনে একদরনের শান্তি বিরাজ করে,এই শান্তি দরে রাখতে ,নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগানোর পত্যায় ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে ‘মুক্ত পরিবেশে’ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার শপথ নিয়েছেন তারা। এরপর বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলবার জন্য নিজে কাজ করছেন সেই বাংলাদেশকে গড়ে তোলবার জন্য আজকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, শপথ নিয়েছি। যে কোনো বালাই আসুক, সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্তবাজার অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করে যাব… এটা আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি তার জন্য বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে শুধু গণতান্ত্রিক সংগ্রামের জন্য। আমরা আজকে এদিনকে স্মরণ করছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আজকে আমরা এই দিনটিকে মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে পালন করতে পারছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে, আগামী দিনে সঠিক রাজনীতি এবং জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এখন বিএনপির মূল কাজ হচ্ছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই আদর্শগুলোকে বাস্তবায়িত করা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তাকে প্রতিষ্ঠিত করা।

৪৭ বছরে বিএনপি নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে ৪৭ বছরে পা দিল দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে ‘মুক্ত পরিবেশে’ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার শপথ নিয়েছে তারা।

সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার করবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

জিয়া উদ্যানে মানুষের ঢল

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঢল নামে। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসে। তারা ‘শুভ শুভ জন্মদিন, বিএনপির জন্মদিন’, ‘লও লও লও সালাম, জিয়া তুমি লও সালাম’, এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ‘আজকের এই দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে’ ইত্যাদি স্লোগানে বিজয় সরণি থেকে চন্দ্রিমা উদ্যান সরব করে রাখে নেতাকর্মীরা। কর্মীরা রঙিন ব্যানার নিয়ে আসে। কর্মীদের মাথায় বাধা ছিল বিএনপির পতাকা সংবলিত ফিতা।

দীর্ঘ বছর পরে এই প্রথম চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার সমাধিস্থলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। অতীতে পুলিশি নিরাপত্তার কারণে নেতাকর্মীদের মিছিল এবং প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ ছিল। জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বের পর প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এই সময়ে দলের শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, নাসির উদ্দিন অসীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মীর সরফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, নাজিমউদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শাম্মী আখতার, মাহবুবুল হক নান্নু, হারুনুর রশীদ, সেলিম রেজা হাবিব, কাজী আবুল বাশার, আমিরুজ্জামান শিমুল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা ছিলেন।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ছিলেন সাইফুল ইসলাম নিরব, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খানসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।